Wellcome to National Portal

Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ জুলাই ২০১৭

পৃথিবী ব্যাপী পারমানবিক বিদ্যুতের ব্যবহার

বর্তমানে পৃথিবীর ৩০টি দেশে ৪৪৯টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতের পরিমাণ মোট উৎপন্ন বিদ্যুতের প্রায় ১২ শতাংশ। ১৪টি দেশে আরও ৬৫টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ ২৭টি দেশে ১৭৩টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এগুলোর মধ্যে ৩০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রই নির্মাণ করা হবে পরমাণু বিশ্বে নবাগত দেশসমূহে, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

 

 

উল্লেখ্য, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বর্তমানে ২১ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি চালু রয়েছে। এছাড়া আরও ৬ টি নির্মাণাধীন রয়েছে এবং ২৪ টি পারমাণবিক চুল্লি পরিকল্পনাধীন রয়েছে। দেশটি ২০২৪ ও ২০৫২ সাল নাগাদ যথাক্রমে ২৭,৪৮০ মেগাওয়াট  ও ৬৩,০০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। অন্যদিকে, চীনে  বর্তমানে ৩০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি চালু রয়েছে। এছাড়া আরও ২৪ টি নির্মাণাধীন রয়েছে। দেশটি আগামী ২০২০ সাল নাগাদ ৩০,০০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বের ষষ্ঠতম দেশ। দেশটিতে বর্তমানে বিদ্যুতের মোট চাহিদার প্রায় ২৮ শতাংশ পারমাণবিক  বিদ্যুৎ  উৎপাদিত হচ্ছে, ২৫ টি পারমাণবিক চুল্লি চালু রয়েছে এবং নির্মাণাধীন রয়েছে ৩টি এবং আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দেশটি মোট চাহিদার ৪৯% পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। এ প্রযুক্তি যথাযথ ব্যবহার করে একটি অনুন্নত দেশ (least developed country) যে কত দ্রুত উন্নত দেশে (developed country)  উন্নীত হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ যেমন-ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়াও বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক  প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তেল-সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২০ সালের মধ্যে ৪টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যে তিনটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। আগামী বিশ বছরের মধ্যে সৌদি আরবে ১৬ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের নাইজেরিয়া ও কেনিয়া, ইউরোপের তুরস্ক, বেলারুশ, পোলান্ড  প্রভৃতি দেশসমূহ প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি যথেষ্ট উন্নত ও নিরাপদ এবং এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে Energy Security'র অন্যতম পদ্ধতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে বিবেচনা করা হচ্ছে।